RSS

অতিরিক্ত ডায়েটিং হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে

ওজন মাপার যন্ত্র দ্রম্নত হালকা পাতলা দেহের অধিকারী হওয়ার জন্য নাওয়া খাওয়া ছেড়ে ডায়েটিং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। তবে এভাবে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়ার বিপদ রয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে উপোস থাকার অভ্যাস করেছেন যারা তাদের ডায়বেটিস, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশ বেড়ে যায়। দেখা গেছে যারা ক্যালরি বা খাদ্যশক্তি নিয়ন্ত্রিতভাবে গ্রহণ করেন তাদের শরীরে উদ্বেগজনকহারে স্ট্রেস হরমোন বেড়ে যায়। কর্টিসল নামের এই হরমোন বেড়ে গেলে ডায়েট করার পরও ওজন বাড়তে থাকে। তাই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে যারা ডায়েট করছেন তাদের সতর্ক হবার সময় এসেছে। ডায়েটে ওজন কমে কথাটা মিথ্যে নয়। কিন্তু ডায়েট দীর্ঘদিন চালিয়ে গেলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে স্ট্রেস হরমোন বাড়ার পাশাপাশি মসত্মিষ্কের সমস্যাও দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল পত্রিকায় এ সম্পর্কিত গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ও মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ১২১ জন নারীর উপর গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য পান।

দেখা গেছে, যারা কঠোর ডায়েটিং করেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও দিন দিন অবনতি ঘটে। সর্বৰণ ক্যালরির হিসেব নিতে গিয়ে মানসিক চাপের শিকার হন তারা। কী খাবেন কেন খাবেন খেলে শরীরের উপকার হবে কী-না এই ধরনের ভাবনা চিনত্মা তাদের মধ্যে স্ট্রেসের জন্ম দেয়। ওজন কমলো কী কমলো না এটা বড় কথা নয়। ডায়েট করলেই কর্টিসল হরমোন বেড়ে যাবে এবং তার ফলে তৈরি হবে মারাত্মক মানসিক চাপ। আবার ক্রমাগত স্ট্রেসে ভুগলে একজন মানুষের ওজন বাড়বে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ওজন বাড়ার কারণে ডায়বেটিস, হৃদযন্ত্রের ধমনী সংকোচন, রক্তচাপ এমনকী ক্যান্সারও হতে পারে।

গবেষণায় যেসব নারী অংশ নিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন এই গবেষণায় তাদের দুটো দলে ভাগ করা হয়েছিল। প্রথম দলকে দৈনিক ১২০০ ক্যালরি খাদ্যশক্তি গ্রহণ করতে বলা হয়েছিল, দ্বিতীয় দলকে বলা হয়েছিল ২০০০ (দুই হাজার) ক্যালরি গ্রহণ করতে। তিন সপ্তাহের এই প্রকল্পের কয়েকদিন অতিক্রানত্ম হওয়ার পর উভয় দলের নারীদের লালার নমুনা পরীৰা করা হয়েছিল। দেখা গেছে প্রথম দলের নারীদের মধ্যে কর্টিসল, হরমোনের মাত্রা বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। অপরদিকে দ্বিতীয় দলের নারীদের তার মাত্রা ৰেত্রে তেমন বাড়েনি। ফলে যারা কম পরিমাণ খাবার খেয়েছে তারা বেশি স্ট্রেসে ভুগেছে এমনটাই উঠে এসেছে পরীৰায়। এই গবেষণার পর ডায়েট যে স্বাস্থ্যের জন্য হিতে বিপরীত হচ্ছে তা অনুধাবন করবে সকলে। অনত্মত বিজ্ঞানীদের সেটাই প্রত্যাশা।