আমরা জানি, সূর্যের আলো সাতটি রঙের সমাহার। এই রঙগুলোর প্রথম অক্ষর পরপর সাজিয়ে বলা হয় ‘বেনীআসহকলা’ অর্থাৎ বেগুনি, নীল, আসমানি ইত্যাদি। ইংরেজিতে বলে ‘VIBGYOR’। এখানে ৭ সংখ্যাটি তাৎপর্যপূর্ণ। সেই প্রাচীন কাল থেকেই সাত দিনে সপ্তাহের হিসাব চালু হয়েছে। আমরা আরও জানি, বিশ্বের ‘সপ্ত আশ্চর্য’-এর কথা। তা ছাড়া, সাত সমুদ্র, সাত মহাদেশ এবং সর্বোপরি ‘সাত ভাই চম্পা’—এগুলো সবই ৭-এর মাহাত্ম্য প্রকাশ করে। প্রাচীন কাল থেকে মানুষের ধারণায় ৭ সংখ্যাটি সৌভাগ্যের প্রতীক বলে চিহ্নিত হয়েছে বলেই হয়তো এতগুলো ঘটনায় বারবার ৭ সংখ্যাটির আবির্ভাব ঘটেছে। ঠিক কী কারণে ৭ সংখ্যাটি সৌভাগ্যের প্রতীক বলে সবাই গ্রহণ করে নিয়েছে, তা বলা কঠিন। তবে গ্রিক দার্শনিক ও গণিতবিদ পিথাগোরাসের (খ্রি.পূর্বাব্দ ৫৭০—৪৯৫) অনুসারীদের মতে, ৭ একটি সম্পূর্ণ বা নিখুঁত সংখ্যা (পারফেক্ট নাম্বার), কারণ ৩ ও ৪ এর যোগফল ৭। তাদের হিসাবে ত্রিভুজ ও বর্গক্ষেত্র হলো নিখুঁত জ্যামিতিক চিত্র এবং তাদের বাহুর সংখ্যা ওই ৩ ও ৪। হয়তো প্রাচীন এই ধারণা থেকে ৭ সংখ্যাটি সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে চালু হয়ে গেছে। লুডু খেলার ছক্কা-গুটিতে যে সংখ্যাগুলো থাকে, তার মধ্যে একটি ছন্দ আছে। দুই বিপরীত পাশের অঙ্কগুলো যোগ করলে সবসময় ৭ হয়। যেমন, যে পিঠে ৫ তার অপর পিঠে থাকে ২, যে পিঠে ৬, তার অপর পিঠে ১, যে পিঠে ৩, তার অপর পিঠে ৪, ইত্যাদি। কোনো কোনো খেলায় একসঙ্গে দুটি গুটির চাল দিয়ে মোট ৭ পয়েন্ট পেলে পুরস্কার পাওয়া যায়। এ জন্য ওইসব খেলায় ৭ একটি সৌভাগ্যের প্রতীক বলে গণ্য হয়। এভাবেই হয়তো লাকি সেভেন কথাটির চল হয়েছে।
‘লাকি সেভেন’ কথাটি কীভাবে এসেছে?
এর দ্বারা পোস্ট করা
Mohammed Delwar Hossain
on শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১০
/
Comments: (0)
সর্দারজির কৌতুক
এর দ্বারা পোস্ট করা
Mohammed Delwar Hossain
/
Comments: (0)
• সর্দারজি ঘোড়ায় চড়ে শহরে গেছেন। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপর দিয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ে যাচ্ছেন তিনি। একসময় রাস্তার সিগন্যাল বাতিকেও উপেক্ষা করে সামনে এগোতে লাগলেন। এটা দেখে পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে তাঁকে থামিয়ে বলল, ‘সিগন্যাল মানেননি কেন? আপনাকে থানায় যেতে হবে, চলুন।’ সর্দারজি অবাক হয়ে বললেন, ‘আরে মশাই, আপনার কাজ হলো সিগন্যাল না মানলে গাড়ি-ঘোড়ার নম্বর লিখে সেই নম্বরে মামলা ঠুকে দেওয়া। তা আপনি ঘোড়ার পেছনে নম্বর দেখে মামলা করে দেন। আমাকে অযথা থানায় যেতে বলছেন কেন? আপনি তো দেখছি আচ্ছা পুলিশ, নিজেই নিয়ম মানেন না!’
• সর্দারজির স্ত্রী এক সকালে সর্দারজির ওপর মহাখাপ্পা। সর্দারজি বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হয়েছেটা কী, শুনি? সকালবেলা রাগারাগি করছো কেন? সর্দারজির স্ত্রী চিৎকার করে বললেন, ‘তোমার পকেটে “বাসন্তী” লেখা কাগজ পেলাম কেন?’
সর্দারজি বললেন, ‘আরে, এই কথা! আমি কাল যে ঘোড়াটি কিনেছি, তারই নাম তো বাসন্তী!’ কিছুদিন পর আবারও সর্দারজির স্ত্রী তাঁর ওপর রাগারাগি শুরু করলেন। সর্দারজি বললেন, ‘আজকে আবার কী হলো?’ সর্দারজির স্ত্রী ঝামটা মেরে বললেন, ‘তেমন কিছু হয়নি। বোধহয় আজকে তোমার বাসন্তী নামের ঘোড়াটি ফোন করেছে। নাও, ঘোড়ার সঙ্গে কথা বলো।’
• বিমানে দিল্লি থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে ১৫ মিনিট পর ক্যাপ্টেন ঘোষণা করলেন, ‘আমাদের একটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়েছে। চিন্তার কিছু নেই, এখনো আমাদের তিনটি ইঞ্জিন সচল আছে। হয়তো পৌঁছাতে সময় এক ঘণ্টা বেশি লাগতে পারে।’
৩০ মিনিট পর ক্যাপ্টেন আবারও একই ঘোষণা দিয়ে জানালেন, ‘আরও একটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে। এবার পৌঁছাতে আরও দুই ঘণ্টা বেশি লেগে যাবে।’
ঠিক এক ঘণ্টা পর আবারও ঘোষণা এল—আরও একটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়েছে। তবে সর্বশেষ ইঞ্জিনটি এখনো সচল আছে। তাই পৌঁছাতে আরও তিন ঘণ্টা সময় বেশি লাগতে পারে।
এবার সর্দারজি তাঁর পাশের সিটের ব্যক্তিকে ডেকে বললেন, ‘দাদা, এই সর্বশেষ ইঞ্জিনটি নষ্ট হলে মনে হয় আজ সারা দিন এই আকাশে ভাসতে হবে, তাই না?’
• ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সর্দারজি একটি গাড়ি কিনেছেন। কিন্তু গাড়ি কেনার পর থেকে সেই ঋণের টাকা পরিশোধের আর কোনো নাম নেই তাঁর। অনেক তাগাদা দেওয়ার পরও টাকা পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একদিন সর্দারজির গাড়িটি নিয়ে যায়। এটা দেখে সর্দারজির বন্ধু বললেন, ‘কি রে, তোর গাড়ি তো গেল!’
‘আরে ধুর, বলিস না! আগে জানলে তো আমি বিয়ের জন্যও ঋণ করতাম, বোধকরি সেটাই ভালো হতো’—সর্দারজির জবাব।
• জেলখানায় সর্দারজি ও পুলিশের মধ্যে কথোপকথন—
পুলিশ: ফাঁসির আগে তোমার কি কোনো শেষ ইচ্ছা আছে? আজকে তোমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণ করা হবে।
সর্দারজি: হুম, একটা ইচ্ছা আছে।
পুলিশ: কী সেই ইচ্ছা?
সর্দারজি: আমার পা ওপরে আর মাথা নিচে রেখে যেন ফাঁসিটা দেওয়া হয়!
সর্দারজি রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। রাস্তার ওপরে বিদ্যুতের তারে একটি পাখি বসে আছে। একসময় পাখিটি মল ত্যাগ করামাত্র সোজাসুজি তা সর্দারজির মাথার ওপর গিয়ে পড়ল। এটা দেখে সর্দারজি আশপাশে তাকালেন কেউ দেখেছে কি না, তা বুঝতে। তারপর মনে মনে বলতে লাগলেন, ‘তাও ভালো যে, গরু উড়তে পারে না, আর তারের ওপরও বসতে পারে না।’
• সর্দারজি ও সান্তা বিয়ে নিয়ে কথা বলছেন—
সান্তা: আচ্ছা, তুমি বিয়েটা করে ফেলছো না কেন?
সর্দারজি: আমি আসলে আমার মতোই আদর্শবান একজনকে খুঁজছি।
সান্তা: তাহলে সে রকম কাউকে খুঁজে পাওনি?
সর্দারজি: তা একজনকে পেয়েছি বৈকি...।
সান্তা: তাহলে সমস্যা কোথায়?
সর্দারজি: আরে, সে তো আবার তার আদর্শের মতোই আরেকজনকে খুঁজছে।
• সর্দারজি গেছেন টেলিভিশন কিনতে—
সর্দারজি: আচ্ছা, আপনাদের এখানে রঙিন টেলিভিশন আছে?
বিক্রেতা: হুম, আছে। তা কোন কোম্পানির টেলিভিশন দেখাব?
সর্দারজি: অত কিছু বুঝি না। আমার রঙিন টেলিভিশন চাই। আর যেনতেন রং হলে হবে না। সবুজ রঙের টেলিভিশন দেখান।
• সর্দারজির স্ত্রী এক সকালে সর্দারজির ওপর মহাখাপ্পা। সর্দারজি বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হয়েছেটা কী, শুনি? সকালবেলা রাগারাগি করছো কেন? সর্দারজির স্ত্রী চিৎকার করে বললেন, ‘তোমার পকেটে “বাসন্তী” লেখা কাগজ পেলাম কেন?’
সর্দারজি বললেন, ‘আরে, এই কথা! আমি কাল যে ঘোড়াটি কিনেছি, তারই নাম তো বাসন্তী!’ কিছুদিন পর আবারও সর্দারজির স্ত্রী তাঁর ওপর রাগারাগি শুরু করলেন। সর্দারজি বললেন, ‘আজকে আবার কী হলো?’ সর্দারজির স্ত্রী ঝামটা মেরে বললেন, ‘তেমন কিছু হয়নি। বোধহয় আজকে তোমার বাসন্তী নামের ঘোড়াটি ফোন করেছে। নাও, ঘোড়ার সঙ্গে কথা বলো।’
• বিমানে দিল্লি থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে ১৫ মিনিট পর ক্যাপ্টেন ঘোষণা করলেন, ‘আমাদের একটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়েছে। চিন্তার কিছু নেই, এখনো আমাদের তিনটি ইঞ্জিন সচল আছে। হয়তো পৌঁছাতে সময় এক ঘণ্টা বেশি লাগতে পারে।’
৩০ মিনিট পর ক্যাপ্টেন আবারও একই ঘোষণা দিয়ে জানালেন, ‘আরও একটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে। এবার পৌঁছাতে আরও দুই ঘণ্টা বেশি লেগে যাবে।’
ঠিক এক ঘণ্টা পর আবারও ঘোষণা এল—আরও একটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়েছে। তবে সর্বশেষ ইঞ্জিনটি এখনো সচল আছে। তাই পৌঁছাতে আরও তিন ঘণ্টা সময় বেশি লাগতে পারে।
এবার সর্দারজি তাঁর পাশের সিটের ব্যক্তিকে ডেকে বললেন, ‘দাদা, এই সর্বশেষ ইঞ্জিনটি নষ্ট হলে মনে হয় আজ সারা দিন এই আকাশে ভাসতে হবে, তাই না?’
• ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সর্দারজি একটি গাড়ি কিনেছেন। কিন্তু গাড়ি কেনার পর থেকে সেই ঋণের টাকা পরিশোধের আর কোনো নাম নেই তাঁর। অনেক তাগাদা দেওয়ার পরও টাকা পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একদিন সর্দারজির গাড়িটি নিয়ে যায়। এটা দেখে সর্দারজির বন্ধু বললেন, ‘কি রে, তোর গাড়ি তো গেল!’
‘আরে ধুর, বলিস না! আগে জানলে তো আমি বিয়ের জন্যও ঋণ করতাম, বোধকরি সেটাই ভালো হতো’—সর্দারজির জবাব।
• জেলখানায় সর্দারজি ও পুলিশের মধ্যে কথোপকথন—
পুলিশ: ফাঁসির আগে তোমার কি কোনো শেষ ইচ্ছা আছে? আজকে তোমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণ করা হবে।
সর্দারজি: হুম, একটা ইচ্ছা আছে।
পুলিশ: কী সেই ইচ্ছা?
সর্দারজি: আমার পা ওপরে আর মাথা নিচে রেখে যেন ফাঁসিটা দেওয়া হয়!
সর্দারজি রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। রাস্তার ওপরে বিদ্যুতের তারে একটি পাখি বসে আছে। একসময় পাখিটি মল ত্যাগ করামাত্র সোজাসুজি তা সর্দারজির মাথার ওপর গিয়ে পড়ল। এটা দেখে সর্দারজি আশপাশে তাকালেন কেউ দেখেছে কি না, তা বুঝতে। তারপর মনে মনে বলতে লাগলেন, ‘তাও ভালো যে, গরু উড়তে পারে না, আর তারের ওপরও বসতে পারে না।’
• সর্দারজি ও সান্তা বিয়ে নিয়ে কথা বলছেন—
সান্তা: আচ্ছা, তুমি বিয়েটা করে ফেলছো না কেন?
সর্দারজি: আমি আসলে আমার মতোই আদর্শবান একজনকে খুঁজছি।
সান্তা: তাহলে সে রকম কাউকে খুঁজে পাওনি?
সর্দারজি: তা একজনকে পেয়েছি বৈকি...।
সান্তা: তাহলে সমস্যা কোথায়?
সর্দারজি: আরে, সে তো আবার তার আদর্শের মতোই আরেকজনকে খুঁজছে।
• সর্দারজি গেছেন টেলিভিশন কিনতে—
সর্দারজি: আচ্ছা, আপনাদের এখানে রঙিন টেলিভিশন আছে?
বিক্রেতা: হুম, আছে। তা কোন কোম্পানির টেলিভিশন দেখাব?
সর্দারজি: অত কিছু বুঝি না। আমার রঙিন টেলিভিশন চাই। আর যেনতেন রং হলে হবে না। সবুজ রঙের টেলিভিশন দেখান।
পৃথিবীর কক্ষপথের পরিবর্তনই বদলে দিচ্ছে জলবায়ুর আচরণ !
এর দ্বারা পোস্ট করা
Mohammed Delwar Hossain
on শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০১০
/
Comments: (0)
পৃথিবীর কক্ষপথের অতি গোলাকার বা অতি উপবৃত্তাকার পরিবর্তনই বরফ যুগের সূচনা করেছিল –ইন্টারনেট
যুক্তরাষ্ট্রের সানত্দা বারবারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ লোরেইন লিসিয়েকি এবার পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী করলেন পৃথিবীর কক্ষপথের পরিবর্তনকে। তার মতে, মানবসৃষ্ট কারণতো বটেই প্রতি ১ লক্ষ বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে যে পরিবর্তন আসে তাও পাল্টে দিচ্ছে পৃথিবীর জলবায়ু। বিগত ১ কোটি ২০ লক্ষ বছর যাবৎ পৃথিবীর জলবায়ু ও সূর্যের চতুর্দিকে ঘূর্ণনের পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা চালানোর পর এই সিদ্ধানত্দে উপনীত হন তিনি।
বর্তমান সময়ে বসে লিসিয়েকি কী করে জেনেছিলেন ১ কোটি ২০ লক্ষ বছর আগের পৃথিবীর কথা সে ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। লিসিয়েকির মত ভূতত্ত্ববিদেরা পৃথিবীর জলবায়ুর অতীত আচরণ জানার জন্য সমুদ্রের তলদেশে জমা হওয়া পলি বা তলানী নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এর ফলে তারা সহজেই বলতে পারেন অতীতে কেমন ছিল পৃথিবীর জলবায়ু। নিখুঁত বৈজ্ঞানিক তথ্যউপাত্ত ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে লিসিয়েকি জানাচ্ছেন প্রতি এক লক্ষ বছরে কেবল পৃথিবীর কক্ষপথেরই পরিবর্তন ঘটে না বরং পৃথিবীর জলবায়ুও পাল্টে যায় এই বিবৃতিটুকুতে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের সমুদ্রের তলদেশ থেকে সংগৃহীত প্রায় ৫৭টি নমুনা বিশেস্নষণ করে তিনি বলেন, 'পৃথিবীতে বরফযুগের সূচনা হয় এক লক্ষ বছর পর পর। অদ্ভুৎ বিষয় হয় ঠিক এই সময় পরপর পৃথিবীর কক্ষপথেও আসে পরিবর্তন। এই সময় পৃথিবীর কক্ষপথ হয়ে দাঁড়ায় অতি গোলাকার বা অতি উপবৃত্তাকার। এক লক্ষ বছর পরপর কক্ষপথের এই পরিবর্তনকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন পৃথিবীর উৎকেন্দ্রিক আচরণ। পৃথিবীর উৎকেন্দ্রিক আচরণের সঙ্গে যে বরফযুগের সূচনার সম্পর্ক করেছে তা প্রায় প্রমাণিত।'
তবে কেবল পৃথিবীর কক্ষপথই যে জলবায়ুকে প্রভাবিত করছে এমন নয়। লিসিয়েকি জানান, উভয়ই উভয়কে প্রভাবিত করছে। অর্থাৎ বড় ধরনের জলবায়ু পরিবর্তনও সূচিত করে কক্ষপথের পরিবর্তন। তিনি পরীৰা করে দেখেছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীমযুগের সূচনা যেবার হয়েছিল সেবার পৃথিবীর কৰপথেও সামান্য পরিবর্তন ঘটেছিল। অর্থাৎ প্রভাবটা হয় উভয়মুখী।
যুক্তরাষ্ট্রের সানত্দা বারবারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ লোরেইন লিসিয়েকি এবার পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী করলেন পৃথিবীর কক্ষপথের পরিবর্তনকে। তার মতে, মানবসৃষ্ট কারণতো বটেই প্রতি ১ লক্ষ বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে যে পরিবর্তন আসে তাও পাল্টে দিচ্ছে পৃথিবীর জলবায়ু। বিগত ১ কোটি ২০ লক্ষ বছর যাবৎ পৃথিবীর জলবায়ু ও সূর্যের চতুর্দিকে ঘূর্ণনের পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা চালানোর পর এই সিদ্ধানত্দে উপনীত হন তিনি।
বর্তমান সময়ে বসে লিসিয়েকি কী করে জেনেছিলেন ১ কোটি ২০ লক্ষ বছর আগের পৃথিবীর কথা সে ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। লিসিয়েকির মত ভূতত্ত্ববিদেরা পৃথিবীর জলবায়ুর অতীত আচরণ জানার জন্য সমুদ্রের তলদেশে জমা হওয়া পলি বা তলানী নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এর ফলে তারা সহজেই বলতে পারেন অতীতে কেমন ছিল পৃথিবীর জলবায়ু। নিখুঁত বৈজ্ঞানিক তথ্যউপাত্ত ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে লিসিয়েকি জানাচ্ছেন প্রতি এক লক্ষ বছরে কেবল পৃথিবীর কক্ষপথেরই পরিবর্তন ঘটে না বরং পৃথিবীর জলবায়ুও পাল্টে যায় এই বিবৃতিটুকুতে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের সমুদ্রের তলদেশ থেকে সংগৃহীত প্রায় ৫৭টি নমুনা বিশেস্নষণ করে তিনি বলেন, 'পৃথিবীতে বরফযুগের সূচনা হয় এক লক্ষ বছর পর পর। অদ্ভুৎ বিষয় হয় ঠিক এই সময় পরপর পৃথিবীর কক্ষপথেও আসে পরিবর্তন। এই সময় পৃথিবীর কক্ষপথ হয়ে দাঁড়ায় অতি গোলাকার বা অতি উপবৃত্তাকার। এক লক্ষ বছর পরপর কক্ষপথের এই পরিবর্তনকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন পৃথিবীর উৎকেন্দ্রিক আচরণ। পৃথিবীর উৎকেন্দ্রিক আচরণের সঙ্গে যে বরফযুগের সূচনার সম্পর্ক করেছে তা প্রায় প্রমাণিত।'
তবে কেবল পৃথিবীর কক্ষপথই যে জলবায়ুকে প্রভাবিত করছে এমন নয়। লিসিয়েকি জানান, উভয়ই উভয়কে প্রভাবিত করছে। অর্থাৎ বড় ধরনের জলবায়ু পরিবর্তনও সূচিত করে কক্ষপথের পরিবর্তন। তিনি পরীৰা করে দেখেছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীমযুগের সূচনা যেবার হয়েছিল সেবার পৃথিবীর কৰপথেও সামান্য পরিবর্তন ঘটেছিল। অর্থাৎ প্রভাবটা হয় উভয়মুখী।
হোজ্জার গল্প
এর দ্বারা পোস্ট করা
Mohammed Delwar Hossain
on সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০১০
/
Comments: (0)
হোজ্জা তাঁর বন্ধুকে চিঠি লিখছিলেন। একজন উৎসুক প্রতিবেশী চুপিচুপি হোজ্জার পেছনে এসে চিঠিতে কী লেখা হচ্ছে, তা পড়তে থাকে। এদিকে হোজ্জার সামনে ছিল একটা আয়না। ওই আয়নাতেই হোজ্জা লোকটাকে দেখতে পেলেন। তিনি পুরো ব্যাপারটা পাত্তা না দিয়ে চিঠি লিখতে লাগলেন: ‘অনেক কিছুই লেখার ছিল। কিন্তু পারলাম না। ঠিক এই মুহূর্তে একজন অভদ্র ও নির্লজ্জ লোক আমার পেছনে দাঁড়িয়ে চিঠি পড়ছে’ লোকটা রেগেমেগে অভিযোগ করল, ‘হোজ্জা, আপনি এসব কী লিখছেন? আমি কখন আপনার পেছনে দাঁড়িয়ে চিঠি পড়েছি?’ জবাবে হোজ্জা বললেন, ‘তুমি যদি আমার পেছনে দাঁড়িয়ে চিঠি না পড়তে, তাহলে জানলে কী করে চিঠিতে আমি কী লিখেছি?’
অনলাইন নেটওয়ার্কিং স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
এর দ্বারা পোস্ট করা
Mohammed Delwar Hossain
on রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১০
/
Comments: (0)
ইন্টারনেটে সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের জন্য খবরটা তেমন সুখকর নয়। ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে একজন বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন। এরিক সিগম্যান নামে ওই মার্কিন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের সঙ্গে অন্যদের সম্মুখ যোগাযোগ কমে যায়। এর ফলে তারা ক্যানসার, স্ট্রোক, হূদরোগ ও মতিভ্রষ্ট হওয়ার মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
মনোবিজ্ঞানী সিগম্যান জানান, অনলাইন নেটওয়ার্কিংয়ের ফলে সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু এর প্রভাবে মানুষের মধ্যকার সরাসরি যোগাযোগ বিনষ্ট হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মতো ‘সত্যিকারের’ সামাজিক যোগাযোগের অভাবে মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মানুষের মধ্যে সম্মুখ যোগাযোগ না হলে বংশগতির ধারা, ধমনির কার্যকারিতা ও হরমোনের স্বাভাবিক ধারা প্রভাবিত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে স্বাভাবিক আচার-আচারণ ও মানসিক অবস্থা। শারীরিকভাবে ক্ষতি করার পাশাপাশি অনলাইন নেটওয়ার্কিং মানুষের সামাজিক জীবনেও প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে সিগম্যান জানান, ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে মানুষ ‘সামাজিকভাবে’ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ওয়েবসাইট ব্যবহারের কারণে মানুষের সামাজিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব পড়া উচিত ছিল এবং মানুষের সামাজিক জীবন আরও সুন্দর হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এর উল্টো। সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহারের ফলে মানুষে মানুষে যেখানে সামাজিক সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়া উচিত, সেখানে উল্টো তা দিনদিন কমে যাচ্ছে। ইনস্টিটিউট অব বায়োলজি থেকে প্রকাশিত সাময়িকী বায়োলজিস্ট-এ সিগম্যান তাঁর এসব মতামত তুলে ধরেন। সেখানে একটি গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি জানান, ১৯৮৭ সাল থেকে মানুষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের মাত্রা আশংকাজনকহারে কমে গেছে। ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের প্রসারের কারণেই এমনটি ঘটেছে। সিগম্যান জানান, সম্মুখ যোগাযোগের সময় মানুষের শরীরিক যে পরিবর্তন হয়, ই-মেইল লেখার সময় তেমনটি দেখা যায় না। ‘সরাসরি’ যোগাযোগের সময় মানুষের মধ্যে ব্যতিক্রম কিছু পরিবর্তন ঘটে, তবে সাদাচোখে এই পরিবর্তন না-ও দেখা যেতে পারে। সিগম্যান আরও জানান, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম ব্যবহারের ফলে মানুষের সামজিক দক্ষতা কমে যায়। অন্যের শারীরিক ভাষা বোঝার মতো সামর্থ্য তার থাকে না। তিনি এ-ও জানান, সামাজিক ওয়েবসাইটের কারণে ব্রিটেনের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। অন্য মানুষের সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগের ‘সময়’ উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। গত দুই দশকের মধ্যে ‘কারও সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে’ এমন লোকের সংখ্যা তিন গুণ কমেছে। ইন্টারনেটে সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের এমন নানা নেতিবাচক দিক তুলে ধরে সিগম্যান জানান, বিষয়টি কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তা ভেবে তিনি গভীর ‘উদ্বিগ্ন’। তিনি এ-ও বলেন, ‘সামাজিক ওয়েবসাইটের নেতিবাচক দিক তুলে ধরায় কেউ যেন আমাকে সেকেলে ভেবে না বসেন। কেউ যেন না ভাবেন যে আমি নতুন প্রযুক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু এটাও সত্য, মানুষের জীবন সুন্দর ও উন্নত করাই প্রতিটি প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’
মনোবিজ্ঞানী সিগম্যান জানান, অনলাইন নেটওয়ার্কিংয়ের ফলে সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু এর প্রভাবে মানুষের মধ্যকার সরাসরি যোগাযোগ বিনষ্ট হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মতো ‘সত্যিকারের’ সামাজিক যোগাযোগের অভাবে মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মানুষের মধ্যে সম্মুখ যোগাযোগ না হলে বংশগতির ধারা, ধমনির কার্যকারিতা ও হরমোনের স্বাভাবিক ধারা প্রভাবিত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে স্বাভাবিক আচার-আচারণ ও মানসিক অবস্থা। শারীরিকভাবে ক্ষতি করার পাশাপাশি অনলাইন নেটওয়ার্কিং মানুষের সামাজিক জীবনেও প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে সিগম্যান জানান, ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে মানুষ ‘সামাজিকভাবে’ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ওয়েবসাইট ব্যবহারের কারণে মানুষের সামাজিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব পড়া উচিত ছিল এবং মানুষের সামাজিক জীবন আরও সুন্দর হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এর উল্টো। সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহারের ফলে মানুষে মানুষে যেখানে সামাজিক সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়া উচিত, সেখানে উল্টো তা দিনদিন কমে যাচ্ছে। ইনস্টিটিউট অব বায়োলজি থেকে প্রকাশিত সাময়িকী বায়োলজিস্ট-এ সিগম্যান তাঁর এসব মতামত তুলে ধরেন। সেখানে একটি গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি জানান, ১৯৮৭ সাল থেকে মানুষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের মাত্রা আশংকাজনকহারে কমে গেছে। ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের প্রসারের কারণেই এমনটি ঘটেছে। সিগম্যান জানান, সম্মুখ যোগাযোগের সময় মানুষের শরীরিক যে পরিবর্তন হয়, ই-মেইল লেখার সময় তেমনটি দেখা যায় না। ‘সরাসরি’ যোগাযোগের সময় মানুষের মধ্যে ব্যতিক্রম কিছু পরিবর্তন ঘটে, তবে সাদাচোখে এই পরিবর্তন না-ও দেখা যেতে পারে। সিগম্যান আরও জানান, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম ব্যবহারের ফলে মানুষের সামজিক দক্ষতা কমে যায়। অন্যের শারীরিক ভাষা বোঝার মতো সামর্থ্য তার থাকে না। তিনি এ-ও জানান, সামাজিক ওয়েবসাইটের কারণে ব্রিটেনের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। অন্য মানুষের সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগের ‘সময়’ উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। গত দুই দশকের মধ্যে ‘কারও সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে’ এমন লোকের সংখ্যা তিন গুণ কমেছে। ইন্টারনেটে সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের এমন নানা নেতিবাচক দিক তুলে ধরে সিগম্যান জানান, বিষয়টি কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তা ভেবে তিনি গভীর ‘উদ্বিগ্ন’। তিনি এ-ও বলেন, ‘সামাজিক ওয়েবসাইটের নেতিবাচক দিক তুলে ধরায় কেউ যেন আমাকে সেকেলে ভেবে না বসেন। কেউ যেন না ভাবেন যে আমি নতুন প্রযুক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু এটাও সত্য, মানুষের জীবন সুন্দর ও উন্নত করাই প্রতিটি প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’