RSS

অনেকে দুধ খেতে পারে না কেন?

দুধ শিশুদের জন্য আদর্শ খাদ্য। কিন্তু অনেক শিশুর দুধে অ্যালার্জি থাকে। তারা দুধ সহ্য করতে পারে না, বারবার বমি হয়, এমনকি ডায়রিয়াও হতে পারে। দুধের মূল চিনিজাতীয় উপাদান হলো ল্যাকটোজ। এই পুষ্টিকর উপাদানটি পরিপাকের জন্য মানুষের শরীর ল্যাকটেজ নামের বিশেষ এনজাইম তৈরি করে। ল্যাকটোজের রাসায়নিক গঠন ভেঙে শরীরে পুষ্টি গ্রহণে সহায়তা করাই ল্যাকটেজের প্রধান কাজ। সাধারণত সব মানুষের শরীরেই ল্যাকটেজ তৈরি হয়। যেসব শিশুর দেহে এই এনজাইম তৈরি হয় না, তাদের সমস্যা দেখা দেয়। তারা যেহেতু দুধ সহ্য করতে পারে না, তাই তাদের মলে অজীর্ণ ল্যাকটোজ থেকে যায়। একটি সহজ পরীক্ষা, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স টেস্টের সাহায্যে এটা বের করা যায়। তবে দুই থেকে তিন সপ্তাহ দুধ খাওয়া বন্ধ রেখে যদি উপকার পাওয়া যায়, তাহলেও বোঝা যাবে সমস্যাটা দুধে। শিশুদের জন্য প্রচুর ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি প্রয়োজন, যা দুধে থাকে। দুধে অ্যালার্জি হলে বিকল্প হিসেবে সয়া দুধ খেতে হবে। এসব ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। অনেক সময় শৈশবে সমস্যা না থাকলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুধে অ্যালার্জি দেখা দেয়। এর একটি কারণ হলো, ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সে কারও কারও শরীরে ল্যাকটেজ তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। বৈজ্ঞানিকেরা এর কারণ বের করার চেষ্টা করছেন। কোন বিশেষ জিন ও প্রোটিনের কারণে ল্যাকটেজ তৈরি বন্ধ হয়ে যায়, তা বের করতে পারলে জিন টেকনোলজির মাধ্যমে এর প্রতিকার বের করা সম্ভব। সহ্য হয় না বলে যে দুধ খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিতে হবে, তা নয়। অনেকে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে দুধ খেয়ে শরীরে সহনীয় করার চেষ্টা চালিয়ে সফল হয়েছেন। সরাসরি দুধের পরিবর্তে দুধের তৈরি ছানা, পনির প্রভৃতি খাওয়া যেতে পারে। দুধের জিনিস হলেও এসব খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়ায় কিছু ল্যাকটোজ অণু ভেঙে যায়, যে কারণে ওই সব খাদ্য শরীর সহজে গ্রহণ করতে পারে।

মরিচ তো নয় যেন ‘আগুনের গোলা’

মরিচটি মুখে দেওয়া মাত্র আগুনের জ্বালা অনুভূত হবে। এ জ্বালা সর্বোচ্চ প্রতিষেধক ওষুধ, দুধ বা মিষ্টি কোনো কিছু দিয়েই দূর করা সম্ভব নয়। ভারতের ভোট জোলোকিয়ার চেয়েও এ মরিচের ঝাল বেশি। মুখে দিলে নিশ্চিত হাসপাতালে ছুটতে হবে। ব্রিটেনের লিঙ্কোশায়ার কাউন্টিতে নতুন উদ্ভাবিত এ মরিচের নাম ‘ইনফিনিটি’।

পূর্ব ইংল্যান্ডের কাউন্টি শহর লিঙ্কোশায়ারের গ্রান্থাম নগরে ইনফিনিটি মরিচের উদ্ভাবন। এ মরিচ উৎপাদনকারী কৃষক উডি উডস বলেন, ‘ইনফিনিটি খাওয়া মানে জ্বলন্ত কয়লা মুখে নেওয়া। ইংল্যান্ডের মতো জলবায়ুতে তীব্র ঝালের এ মরিচের উৎপাদন সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
ওয়ারউইক ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ইতিমধ্যে এ মরিচের গুণাগুণ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। তাঁরা ইনফিনিটি মরিচের স্কভিল স্কেল (মসলার ঝাল পরিমাপের একক) নির্ধারণ করেছেন এক লাখ ৬৭ হাজার ২৮৬। আর ভারতে উৎপাদিত ভোট জোলোকিয়ার স্কভিল স্কেল হলো এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৭। তীব্র ঝাঁজের বিবেচনায় ইনফিনিটি মরিচের অবস্থান এখন সবার ওপরে। আগে এ রেকর্ডের মালিক ছিল ভোট জোলোকিয়া। অ্যানানোভা।

থাকে দুচোখ খোলা

ঘুমিয়ে পড়ি আমি
থাকে দুচোখ খোলা,
আজকে নাহয় নীল আকাশে
স্বপ্ন থাকুক তোলা।

স্বপ্ন শুধুই ভিড় করত
চোখের পাতায় এসে,
একনিমেষে ভাসিয়ে নিত
কোথায় কোন বা দেশে?

নাই বা হলো সওয়ার হওয়া
পঙ্খিরাজের পিঠে,
চোখ দুটোকে ফাঁকি দিলাম
কেমন কড়া মিঠে!

সত্যিকারের সবজান্তা

মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন
বাঘ
প্রতিটি বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগ অন্য বাঘের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। একটি বাঘের গায়ে মোটামুটি শখানেক ডোরাকাটা দাগ থাকে।
বিজ্ঞানীরা এ যাবত্ নয়টি উপ-প্রজাতি বাঘ শনাক্ত করেছেন। এরা হলো বেঙ্গল, ইন্দো-চায়নিজ, মালয়ান, সুমাত্রান, সাইবেরিয়ান এবং চায়না। দুটি প্রজাতি বালিয়ান এবং ক্যাম্পিয়ান ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে।
সাইবেরিয়ান বাঘ আকারে সবচেয়ে বড়। লম্বায় প্রায় ২৭০-৩৩০ সে.মি. উচ্চতায় ১০৭-১১০ সে.মি.এবং ওজনে প্রায় ৩০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাঘের গর্জন প্রায় এক মাইল দূর থেকে শুনতে পাওয়া যায়।
বাঘ তার মূত্র দ্বারা অথবা গাছের গায়ে আঁচড়ের মাধ্যমে নিজের এলাকা চিহ্নিত করে।
বাঘের পায়ের টেন্ডন (শক্ত তন্তু, যা মাংসপেশি হাড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে) এতটাই শক্তিশালী যে গুলি খেয়ে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দাড়িয়ে থাকতে পারে।
বাঘ প্রতিদিন ৬ কেজি মাংস খায়। তবে কোনো কিছু না খেয়ে সপ্তাহখানেক বেঁচে থাকার ক্ষমতা বাঘের আছে।
শিকার ধরার সময় সাধারণত বাঘ তার পায়ের আঙুলে দাঁড়িয়ে হাঁটে। এ ছাড়া কোনো কোনো প্রজাতির বাঘ লাফ দিয়ে ৩৩ ফুট পর্যন্ত যেতে পারে।
বাঘের মুখের লালা জীবাণুনাশক। তাই বাঘ আহত হলে ক্ষতস্থানে মুখের লালা ব্যবহার করে।
বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগগুলো ছদ্মবেশ হিসেবে শিকার কিংবা শত্রুর চোখকে ধোঁকা দিতে বেশ কাজে লাগে। বাঘের গায়ের সব লোম ফেলে দিলেও ডোরা কাটা দাগগুলো থেকে যাবে।
বাঘের বেশ কিছু ফসিল আছে, যা প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছর পুরোনো।

লটারি

এক ব্যাক্তি গ্রাম খেকে শহরে আসলেন বড় লোক হওয়ার আশায় । গ্রামের বাড়িতে তার পেশা ছিল (সাপুড়ে) সাপের খেলা দেখানো । শহরে এসে দেখলেন রাস্তার পাশে পাশে লোকজন ভিড় করে আছে, অনেক কষ্ট করে একটা ভিড়ের মধ্যে গেলেন । কবিরাজদের ব্যবসা, তিনি অনেক ক্ষণ দেখলেন এবং তাদের গিরে থাকা লোকজনের ভিড় দেখে সে শহরে ও সাপের খেলা দেখাবে সিদ্ধান্ত নিলেন । কিন্তু গ্রাম থেকে আসার সময় সংগে করেতো সাপ আনা হলো না । সাপের খেলা দেখাবে কি করে । সংগে করে কিছু টাকা পয়সা ছিল, সেগুলো দিয়ে সাপ কেনার জন্য অনেক খোজা খোজির পর এক সাপ বিক্রেতা পেলেন । সাপ খরিদ করার জন্য ১০০০/- টাকা বায়না দিল । পরদিন এসে নিয়ে যাবে ।
তার সাপ লড়ায় করার জন্য ছিল অত্যান্ত পারর্দশী । বিভিন্ন বাজিকারদের সাথে বাজি ধরেন । তদ্রুপ একটা বাজিতে ভাগ্য ক্রমে হেরে গেলেন এবং সাপের মৃত্যু ঘটল । গ্রাম্য লোকটি সাপ নিতে আসলে বেক্রেতা তাকে জানালেন, রাতে সাপ আর বেজির লড়ায়ে সাপের মৃত্যু ঘটেছে । লোকটি তার বায়না টাকা ফেরত চাইলে বিক্রেতা তা দিতে অস্বীকার করে । এবং তাদের মাধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হয় । এক পর্যায়ে গ্রাম্য লোকটি বললেন - ঠিক আছে আমাকে মৃত সাপটি পেকেট করে দিন । কিছু দিন পর সাপ বিক্রেতার সাথে দেখা হল এবং তাকে জিজ্ঞেস করলেন মৃত সাপটি আপনি কি করলেন । তখন লোকটি জবাব দিলেন ঐটা থেকে আমি ৯৯৮ টাকা উঠিয়ে নিয়েছি । লোকটি হতবাক হয়ে বললেন কি করে সম্ভব । গ্রাম্য লোকটি তাকে জানালেন -
মৃত সাপের বক্মটি হাতে নিয়ে হাটতে হাটতে চিন্তা করলাম কি করা যায় । হাটতে হাটতে কিছু দূর যাওয়ার পর মাথায় একটা বুদ্ধি আসল । সাপটি কে প্রাইজ ঘোষনা ৫০০টি টিকিট রাস্তার পাশে প্রতি টিকে ২/- টাকা বিক্রি শুরু করলাম ।
লোকটি বললেন - কেউ কোন অভিযোগ করেনি ।
জবাবে বললেন - হ্যাঁ করছিল একজন, যে লটারি জিতেছিল । তাকে তার ২ টাকা ফেরত দিয়ে দিলাম ।