
ফিটনেস এক্সপার্টদের মতে, আমাদের খাদ্যের ৫৫ থেকে ৬০ ভাগ হওয়া উচিত শর্করা। কারণ শরীরের প্রধান শক্তির উৎস এটাই। শর্করা সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে বিশেষ করে শাক-সবজি ও ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও আঁশ জাতীয় উপাদান। গবেষকদের মতে, দানা শস্য, শিম, ফল এবং শাক-সবজি খুব ধীরে রক্তে শর্করা ছড়ায়। ফলে রক্ত-শর্করা বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে বহুক্ষণ। ভারতীয় পুষ্টিবিদ রিতিকা সামাদ্দার বলেন, 'স্বাস্থ্যকর খাবারে আমিষ এবং শর্করা যথাযথ পরিমাণে থাকে। শুধু সালাদ কিংবা সু্যপ আদর্শ খাবার হতে পারে না। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও ভিটামিন এতে থাকে না।' তিনি বলেন, 'সু্যপ দিয়ে খাবার শুরু করুন, তারপর ফিরে যান প্রতিদিনকার নিয়মিত খাদ্য তালিকায়।' প্রক্রিয়াজাত বা তৈরি খাবার স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এ ধরনের খাবার বস্নাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ফলে শরীরে ক্লান্তি ও ক্ষুধা বোধ হয়।
সম্প্রতি আমেরিকান জার্নাল অফ মেটাবলিজম সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে, যে কোনো এক বেলার খাবার না খেয়ে অন্য কোনো সময় এক সাথে বেশি খেলে হজমে সমস্যা হয় এবং ইনসুলিন ঠিক মত কাজ করে না। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গবেষকদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যত বেলা বাড়তে থাকে ততই শরীরের বিপাক ক্রিয়ার গতি মন্থর হতে থাকে। তাই রাতের খাবারে আদর্শ সময় হল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত আটটা। খাওয়ার পর পরই ঘুমানো ভালো নয়। এতে শরীর অত্যধিক মেদ সঞ্চয় করে।
যারা মেদ কমানোর জন্য লড়ছেন তাদের জন্য আদর্শ রতের খাবার হতে পারে, চাপাতি বা রুটি, ডাল , সবজি। এছাড়া শিমের তৈরি খাবার ও সু্যপও থাকতে পারে সাথে।
দ্য টইমস অফ ইন্ডিয়া অবলম্বনে
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন