RSS

ঘুম মানুষকে করে তোলে কমনীয়

মুখের সতেজভাব ও কমনীয়তা রক্ষা করতে অনেকেই ঘুমকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে তাদের এই ধারণা পুরোপুরি সঠিক। পরিপূর্ণ ঘুম যেমন সুস্থতার চাবি-কাঠি ঠিক তেমনি ঘুম ঠিকমত না হলে শরীরে রোগ বাসা বাধতে পারে। দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম মানুষকে আকর্ষণীয় করে তোলে। ঘুম বঞ্চিত মানুষের চেহারা থেকে কমনীয়তা উবে যায়। চেহারা হয়ে ওঠে রুক্ষ।

সৌন্দর্য্য রক্ষার্থে বিউটি িপের' ধারণা যুগ যুগ ধরে প্রচলিত রয়েছে। আহারের পর নারীরা একটু ঘুমিয়ে নিতে পছন্দ করেন সৌন্দর্য্য রক্ষার খাতিরে। গবেষকরা বলছেন, ঘুম বাস্তাবিকই মানুষকে কমনীয় করে তোলে। গবেষকরা ২৩ জন তরুণ-তরুণীকে নিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন। ৮ ঘন্টা ঘুমের পর একবার প্রত্যেকের ছবি তুলেছেন তারা। এরপর স্বেচ্ছাসেবীরা ৩১ ঘন্টা নির্ঘুম ছিলেন, ৩১ ঘন্টা পর আবার তাদের প্রত্যেকের ছবি তোলা হয়। প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীর প্রথম ও দ্বিতীয় ছবি পাশে রাখার পর পার্থক্যটা সহজেই ধরা পড়েছিল। প্রথম আলোকচিত্রটিতে স্বেচ্ছাসেবীদের সতেজ ও কমনীয় দেখাচ্ছিল। ৩১ ঘন্টা জেগে থাকার পর তাদের চেহারার সেই কমনীয়তা হারিয়ে গিয়েছিল। চেহারার এই পরিবর্তন থেকেই বোঝা যায় ঘুম মানুষকে কতটা সতেজ ও সি্নগ্ধ করে তোলে। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এই গবেষণা সম্পর্কে বিশদ তথ্য তুলে ধরা হয়।

তবে স্টকহোমের কারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের গবেষকদের মতে এই গবেষণায় যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত উপস্থিত করা হয়নি। তাই বিষয়টি সত্য হলেও এখনই তা সর্বজনের স্বীকৃতি পাবে না। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের নিবন্ধে দাবি করা হয় 'ঘুম মানুষকে সুস্থ, ঝরঝরে ও আকর্ষণীয় করে তোলে। অপরদিকে অনিদ্রায় স্বাস্থ্য খারাপ হয়, চেহারা হয়ে উঠে শ্রীহীন। 'যুক্তরাজ্যের সারে পি রিচার্স সেন্টারের গবেষক ড্রেক জেন ডিকা বলেন, 'ঘুম সৌন্দর্য্য রৰায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই গবেষণায় পাওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের জেগে থাকার ছবিগুলো বিশেস্নষন করলেই এটা প্রমাণিত হয়'। তবে যা দেখা গেছে ঘুমের প্রভাব এর চেয়েও বেশি বলে তিনি মনে করেন। তার মতে, 'সারা রাত জাগার পর চেহারা কেমন হয়ে ওঠে তা প্রত্যেকেই অনুধাবন করতে সৰম। এজন্য গবেষণারও তেমন প্রয়োজন নেই। ঢুলু ঢুলুচোখের নিদ্রাক্লান্ত মুখ দেখতে যার ভালো লাগে। তাই নিজেকে ঘুম বঞ্চিত করা চলবে না। নিয়মিত আট ঘন্টা ঘুমান, সুন্দর থাকুন।


বিবিসি অবলম্বনে

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন