RSS

কফি আপনাকে করে তুলতে পারে বিস্মৃতিপ্রবণ


প্রতিদিন ভোরে পুরোপুরি ঘুম থেকে জেগে উঠতে অনেকেই কফি পান করেন। তাৎক্ষণিক সতেজ অনুভূতি এনে দিতে কফির তুলনা নেই। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জনপ্রিয় এই পানীয়ের একটা ক্ষতিকর দিকের কথাও জানা গেছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কফি পানের অভ্যাস চট করে কোনো কিছু মনে করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। 'মনে পড়ি পড়ি করেও মনে পড়ছে না' এমন অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে কফি আসক্তদের। ইংরেজি ভাষায় এই অবস্থাকে বলা হয় 'টিপ অফ দ্য টাং' অবস্থা অর্থাৎ জিভের ডগায় আছে তবু মনে পড়ছে না। এভাবে চট করে কোনো শব্দ বা বাক্য মনে করার ৰেত্রে কফি অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।

ইতালির স্কুল ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজের গবেষক ভালেরি লেস্ক বলেন, কফি মস্তিষ্ককে সজাগ ও সতর্ক এবং উদ্দীপ্ত করে। এটা করতে গিয়ে মস্তিষ্কের অন্যান্য কার্যক্রমকে প্রায় বন্ধ করে দেয় কফির রাসায়নিক উপাদান ক্যাফেইন। ফলে এমন অবস্থায় কোনো কোনো প্রয়োজনীয় ও জানা শব্দ মনে করতে সমস্যা হয়।

গবেষক লেস্ক এবং তার সহযোগী গবেষক ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপক স্টিফেন ওমবলে এ বিষয়ে আরো কিছু চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছেন তাদের গবেষণায়। তারা জানান, কফি কেবল স্মৃতি পুনরুদ্ধারে সমস্যাই করে না বরং মাঝে মাঝে খুব অল্প সময়ের জন্য স্মৃতি পুনরুদ্ধারে সাহায্যও করে। কিন্তু এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব মস্তিষ্কের জন্য ভালো নয় বলেই মনে করেন তারা। এতে আসক্তরা বিস্মৃতিপ্রবণ হয়ে উঠতে পারেন বলে তাদের আশংকা।

কফি নিয়ে এই গবেষণার অংশ হিসেবে গবেষকরা ৩২ জন কলেজ শিৰার্থীকে দু'ভাগে বিভক্ত করে পরীক্ষা চালিয়েছেন। একদলকে ২০০ মিলিগ্রাম অর্থাৎ দু'কাপ কড়া কফির সমান ক্যাফেইন খাওয়ানো হয়েছিল অন্য দলকে দেয়া হয়েছিল একই রকম দেখতে একটি ওষুধসদৃশ ট্যাবলেট। এরপর দু'দলকেই ১০০টি সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন দেয়া হয়েছিল। কেবলমাত্র একটি শব্দ দিয়েই যাতে উত্তর দেয়া যায় প্রশ্নগুলো সেভাবেই করা হয়েছিল। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য আটটি শব্দ উলেস্নখ ছিল সম্ভাব্য উত্তর হিসেবে। প্রতি দ্বিতীয় এবং অষ্টম শব্দের সঙ্গে ছিল উচ্চারণগত মিল। কিন্তু দু'টি শব্দের অর্থের মধ্যে ছিল বহু ব্যবধান। যেমন একটি প্রশ্ন ছিল প্রাচীন মিশরের লিপির নাম কী? এর উত্তর হল 'হায়ারোগিস্নফিকস'। এর সাথে ধ্বনিগত মিল আছে হায়ারারর্কি শব্দটির। প্রশ্নপত্রে এই দু'টি শব্দ দেখার পর যারা ক্যাফেইন বড়ি খায়নি তারা ঠিকঠাক উত্তর দিতে পেরেছিল কিন্তু যারা ক্যাফেইন বড়ি সেবন করেছিল তাদের অধিকাংশই হায়ারারর্কিকে হায়ারোগিস্নফিকসের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছিল। ক্যাফেইন তাদের স্মরণশক্তির উপর খারাপ প্রভাব তৈরি করায় এ ধরনের সমস্যা হয়েছে বলে মনে করছেন সংশিস্নষ্ট গবেষকরা।


বিবিসি অবলম্বনে

শিশুদের খালি পায়ে হাঁটতে দিন

অনেক বাবা মা হাঁটতে শেখার পর থেকেই শিশুদের জুতো পরিয়ে রাখেন। 'স্যান্ডেল বা জুতো ছাড়া হাঁটা বারণ'-এমন নিষেধ শুনতে হয় প্রায় প্রতিটি শিশুকে। বহু বাবা মা আবার শিশুকে শক্ত ও হিলযুক্ত জুতো পরান। পছন্দের জুতো পরার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে চান শিশুর পা জোড়া। অথচ পায়ের জন্ম হয়েছে হাঁটার জন্য, জুতো পরে থাকার জন্য নয়। জুতো জোড়া বড় জোর পাকে আঘাত থেকে রৰা করে। তবে শিশু বিশেষজ্ঞদের সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গেছে, জুতো পাকে রৰা করার বদলে বরং পায়ের ৰতি করে। যুক্তরাজ্যের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও শিশুদের পায়ের গঠন নিয়ে দীর্ঘকাল গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষক ট্রেসি বার্নি বলেন, 'জুতো পরে হাঁটলে শিশুদের পায়ের স্বাভাবিক গঠন পাল্টে যায় এবং মসত্দিষ্কের বিকাশও বাধাগ্রসত্দ হয়।' তার মতে একটি শিশু যখন খালি পায়ে হাঁটে তখন তার মসত্দিষ্ক সতর্ক ও সংবেদনশীল থাকে। মাটিতে নগ্নপায়ের স্পর্শ তাকে পরিবেশ ও পরিপাশর্্ব সম্পর্কে অবিরাম তথ্য জোগায়। এ সময় শিশু সতর্ক থাকে এবং হাঁটার নিয়ম ও ছন্দ রপ্ত করতে চেষ্টা করে। অপরদিকে জুতো পরে হাঁটলে নিচের দিকে তাকানোর প্রয়োজন পড়ে না তার। ফলে মাটির সাথে পায়ের স্পর্শের ফলে যে অনিন্দ্য অনুভূতির জন্ম হয় তা থেকে সে বঞ্চিত থেকে যায়। কেবল তাই নয়, খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের পেশি, লিগামেন্ট এবং পায়ের পাতার হাড় সুগঠিত হয়। পাশাপাশি এমন অভ্যাস পায়ের পাতার ভারসাম্য তৈরি করে এবং পরিবেশ ও পরিপাশ্বর্ের সঙ্গে একটি শিশুর স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ত যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয়। ফলে শিশুরা খুব ভালো হাঁটার ভঙ্গি রপ্ত করে সহজেই।


'দ্য ফুট' নামে শিশুদের পায়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি চিকিৎসা সাময়িকীতে অনুরূপ একটি গবেষণা প্রতিবেদন ছাপা হয় এর আগে। সে গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায়, জুতো শিশুদের পায়ের স্বাভাবিক গঠনকে নষ্ট করে। খালি পায়ে হাঁটলে পা প্রাকৃতিক নিয়মে স্বাভাবিকভাবেই হাঁটা চলার উপযুক্ত হয়ে বেড়ে ওঠে। অপরদিকে জুতো পরার অভ্যাসের কারণে পা হয় ত্রম্নটিপূর্ণ। ২৫ বছর ধরে নগ্নপদে হাঁটছেন যুক্তরাজ্যের স্কুল শিৰক জন উডওয়ার্ড। তিনি বলেন, 'এটা সত্যি যে আমরা আদিম যুগে বসবাস করছি না। নাগরিক জীবনে শহরে চলতে ফিরতে পা জোড়াকে বিপদের হাত থেকে রৰা করতে জুতো প্রয়োজন। কিন্তু আমরা ভুলে গেছি এটা সার্বৰণিক কোনো ব্যবস্থা নয়। জুতো আমাদের ৰণিকের প্রয়োজন মেটায় মাত্র।' তার মতে অধিকাংশ বাবা মা সনত্দানদের সাইজমত জুতো পরানোর জন্য উৎকণ্ঠিত। বাবা মায়েরা সনত্দানদের নির্দিষ্ট সাইজের জুতো পরাতে পারলেই সন্তুষ্ট। পা বেঢপ হয়ে পড়লে বাজারের কোনো জুতোই সনত্দানের পায়ে লাগবে না এমন দুশ্চিনত্দাও তাদের মনে কাজ করে বলে তিনি মনে করেন। একবার একটি রেসত্দোরাঁয় তাকে খালি পায়ে দেখে একটি শিশুও সাথে সাথে জুতো জোড়া খুলে ফেলে। সে অভিজ্ঞতার বিবরণ দিতে গিয়ে উডওয়ার্ড বলেন, 'শিশুটি জুতো খুলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে তার মা তাকে দ্রম্নত জুতো পরে নিতে নির্দেশ দেন। মা তার সনত্দানকে বলছিলেন, তুমি যদি জুতো না পর তবে তোমার পায়ে আর কোনো জুতোই আঁটবে না।' উডওয়ার্ডের মতে, মায়েরা জুতোর জন্য যতটা শংকিত শিশুর পায়ের জন্য ততটা নন।

উডওয়ার্ড মনে করেন মানুষের পা হাঁটা চলা, দৌড়ানো, বাধা ডিঙানো, গাছে চড়া ইত্যাদি সবকিছুর জন্য উপযুক্ত। জুতো পায়ের সেই সৰমতাকে নষ্ট করে।

গবেষকদের মতে, শিশুদের পা পূর্ণ বয়স্কদের পায়ের মত সুগঠিত থাকে না। পায়ের পাতায় যে ২৮টি হাড় থাকে সেসবের পরিপূর্ণ বিকাশ হতে অনত্দত ১০ থেকে ১২ বছর সময় লাগে। প্রধানত তরম্নণাস্থি এবং পেশি দ্বারা গঠিত শিশুদের পা একবার জুতোর ভেতরে ঢুকলে তাই বিকশিত হবার সুযোগ পায় না। শিশুদের পায়ের এবং মসত্দিষ্কের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য তাই নগ্নপদে হাঁটাকেই সমর্থন করেন শিশু বিশেষজ্ঞরা।

গৃহস্থালীর কাজ করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে

যেসব নারী নিয়মিত ব্যায়াম করার সময় পান না কিন্তু গৃহস্থালীর কাজে যথেষ্ট ব্যসত্দ সময় কাটান তাদের সত্দন ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুলাংশে হ্রাস পায়। ইউরোপের প্রায় ২ লক্ষ নারীর উপর পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে খেলাধুলার চাইতেও নারীদের বেশি সুরক্ষা দেয় গৃহস্থালীর কাজ কর্ম। ঘর মোছা, ঘর ঝাড়ণ্ড দেয়া, কাপড় কাচা ইত্যাদি যেকোনো শারীরিক ব্যায়ামের চাইতে কার্যকর বলে জানান চিকিৎসকরা। যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার গবেষণার সাথে যুক্ত নারীদের অর্থায়নে এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।


সপ্তাহে ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা রান্না ও ধোয়া-মোছার মত গৃহস্থালীর কাজে জড়িত নারীরা সত্দন ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে অনেকটাই নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বহুদিন ধরেই বলে আসছিলেন, ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সম্ভবত শরীরের বিপাক ক্রিয়া ও হরমোনের কার্যক্রমে উন্নতি দেখা দেয় ব্যায়ামের ফলে। কিন্তু ব্যায়ামের ফলে ক্যান্সার ঝুঁকি কতটা কমে তা জানা সম্ভব হয়নি এতদিন। পাশাপাশি যাদের বয়েসের কারণে মাসিক ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে গেছে 'মেনোপজে' পৌঁছানো সেসব নারী ব্যায়ামের সুফল বেশি পেয়ে থাকেন বলে দেখা গেছে। কিন্তু ঋতুমতি নারীরা ব্যায়ামের দ্বারা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি খুব কমাতে পারেন না বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। কিন্তু চমকপ্রদ তথ্য হল, প্রায় সব বয়সী নারীদের ক্ষোত্রেই গৃহস্থালীর কাজ অনেক বেশি কার্যকর ফল দেয়। সত্দন ক্যান্সারের ৰেত্রে অনেক বেশি সুরৰা তৈরি করে নারীদের সংসার সংলগ্নতা।

গবেষকদের মতে, গৃহস্থালীর কাজ ঋতুমতি নারীদের ক্ষেত্রে ৩০ ভাগ এবং মেনোপজে পৌঁছানো বয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে ২০ ভাগ সত্দন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। প্রায় সাড়ে ছয় বছর ধরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নারীদের উপর এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। উক্ত সময়ের মধ্যে গবেষণায় অংশ নেয়া প্রায় ২ লক্ষ নারীর মধ্যে সাড়ে ৩ হাজার নারীর ক্যান্সার হয়েছে।

গবেষকদের মত হল যেকোনো ভাবেই নিজেকে সচল রাখলে সত্দন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। গৃহস্থালীর কাজতো বটেই নিজের কর্মৰেত্রে শারীরিক পরিশ্রমও যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। সবচেয়ে বড় কথা হল শরীরের বিপাক ও হরমোনের ক্রিয়া বিক্রিয়াকে স্বাভাবিক ও কার্যকর রাখা।


বিবিসি অবলম্বনে

মানুষের দৈহিক গঠনে ভিন্নতার জন্য দায়ী ডিএনএর খোঁজ মিলেছে

দু'জন মানুষের চেহারা ও শারীরিক গঠন কখনো একরকম হয় না। এমনকী যমজ ভাইবোনদের আপাতদৃষ্টিতে সাদৃশ্যপূর্ণ মনে হলেও তাদের মধ্যেও একই রকম বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান। পৃথিবীতে একই রকম দৈহিক গঠনযুক্ত দু'জন মানুষ কখনো পাওয়া সম্ভব নয়। এর কারণ হল তাদের জিনগত স্বাতন্ত্র্য। প্রতিটি মানুষের ভিন্নতার সাথে তাই সম্পর্ক রয়েছে জিনের গঠনের। জিনবিদ্যা বা বংশগতির জনক গ্রেগর জোহান মেন্ডেল ১৮৫৬ সালে মটরগাছ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এ সম্পর্কে প্রথম মানুষকে ধারণা দেন। এরপর প্রায় একশতাব্দীরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও এ বিষয়ে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। তবে সম্প্রতি মানুষের জিন নক্সা আবিষ্কারের পর বিজ্ঞানীরা মানবদেহের রহস্য উন্মোচনে অনেকদূর অগ্রগতি অর্জন করেছেন।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মানুষের জিন নক্সা বা জিনোম বিশেস্নষণ করে এমন একটি ডিএনএ আবিষ্কার করেছেন যা শারীরিক ভিন্নতার জন্য দায়ী বলে তারা মনে করছেন। সম্প্রতি 'সেল' নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ সংক্রানত্দ তথ্য তুলে ধরা হয়। মানবকোষের ডিএনএর মধ্যে এমন একটি সঞ্চারণশীল খণ্ডাংশ তারা আবিষ্কার করেছেন যেটি খুব দ্রম্নত নিজের প্রতিরূপ তৈরি করতে পারে, ইচ্ছেমত স্থান বদল করতে পারে এবং ডিএনএর যেকোনো স্থানে ঢুকে পড়তে পারে। ডিএনএর এই খণ্ডাংশের নাম দিয়েছেন তারা 'ট্রান্সপোসনস'। 'ট্রান্সপোসনস' ডিএনএর মধ্যে ঠিক কীভাবে সজ্জিত রয়েছে তার উপর নির্ভর করে একজন লম্বা না বেঁটে, কোঁকড়ানো চুল না কালো বর্ণের অধিকারী হবে। এই ডিএনএ খণ্ডাংশের বৈচিত্র্যের জন্যই একজন মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি জন্মগতভাবে বেশি আবার কারো কম থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই আবিষ্কারের ফলে কোন ব্যক্তি কী ধরনের রোগে আক্রানত্দ হতে পারে তা আগে থেকে বলে দেয়া সম্ভব।

বিজ্ঞানীরা বিশেষ একধরনের চিপ ব্যবহার করেছেন এই গবেষণায় যেটিতে মানব জিনোমের সব ধরনের ডিএনএ সজ্জা বা সিকোয়েন্স রয়েছে। ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের রক্ত থেকে সংগৃহীত ডিএনএর সাথে চিপের মধ্যে থাকা জিনোমের ডিএনএ সজ্জার তুলনা করেন তারা। এ ধরনের বিশেস্নষণ থেকেই 'ট্রান্সপোসনস' এর বৈচিত্র্যময় উপস্থিতি চোখে পড়ে বিজ্ঞানীদের। ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবক থেকে নেয়া ডিএনএগুলোর প্রতিটিতে প্রায় ১০০ টির উপর 'ট্রান্সপোসনস' এর উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছেন তারা। 'ট্রান্সপোসনস' এর এ ধরনের বিচিত্র সজ্জাই ব্যক্তির ভিন্নতার জন্য দায়ী বলে জানান জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. জেফ বোয়েক।