RSS

দৌড়ালে ওজন কমে না!

ওজন কমানোর জন্য যারা নিয়মিত দৌড়ান তাদের হতাশার সংবাদ রয়েছে। সম্প্রতি একজন ব্রিটিশ গবেষক বলেছেন, 'ওজন কমানোর জন্য দৌড়ান এমন প্রচুর মানুষ কার্যত এ ক্ষোত্রে বড় ধরনের সাফল্য পান না।' গ্রেগ ব্রুকস নামের এই ব্রিটিশ গবেষক জানান, 'চর্বি দেহের সবচেয়ে বড় শক্তির উৎস। দৌড়ালে এই শক্তি খরচ হয় বটে কিন্তু যতটুকু চর্বি খরচ হয়, দেহ তার চেয়ে জমিয়ে রাখে বেশি। নিয়মিত যারা দৌড়ান তাদের স্বাভাবিক খাদ্য তালিকায় চর্বি থাকুক বা না থাকুক দেহ সে খাবার থেকে বেশি বেশি চর্বি জমাতে শুরু করে দেয়।' ব্রুকসের মতে, আমাদের শরীর যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সৰম। দৌড়ানোর মত নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে শরীর তার চাহিদা অনুযায়ী শক্তি সংরৰণ করতে শুরু করে। ফলে বাড়তি মেদ ঝরানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে। কেবল তাই নয় ব্রুকস বলেন, আপনি যত বেশি সময় দৌড়াবেন ততবেশি আপনার শরীর শক্তি সাশ্রয়ী হয়ে উঠবে। অর্থাৎ দৌড়ানোতে তখন ক্যালরি বা খাদ্যশক্তি কম খরচ হবে। ফলে চর্বি খরচ হবে অনেক কম। তাছাড়া দৌড়ানোর ফলে শরীরে অস্থিসন্ধির উপর অনেক বেশি চাপ পড়ে বলে তিনি জানান। তার মতে, দৌড়ানোর সময় আমাদের শরীরের ওজনের আড়াইগুণ বেশি চাপ পড়ে হাঁটু ও পায়ের অস্থিসন্ধির উপর। এভাবে ক্রমাগত চাপ পড়তে থাকলে হাঁটু ও পায়ের অস্থিসন্ধি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। বর্তমানের জনপ্রিয় মত হলো ব্যায়াম মানুষের বিপাকক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। ব্রুকস বলেন, ব্যায়াম তা করে বটে কিন্তু দৌড়ানো বা জগিং তার উল্টোটিই করে।

ব্রুকসসহ বহু গবেষক মনে করেন নিয়মিত এক ঘণ্টা হাঁটা এবং শাকসবজি, মাছ, আঁশ জাতীয় খাবার ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করলে ওজন কমবে। শর্করা জাতীয় খাবার অর্থাৎ ভাত, আলু, মিষ্টি, ময়দার রম্নটি ও পরোটা খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে বা কমিয়ে আনতে হবে। চর্বিযুক্ত মাংস, ঘি ও ননীযুক্ত দুধও যথেষ্ট পরিমাণ ওজন বাড়ায়। যারা চা পান করেন দিনে অন্তত তিনবার তারা চা থেকে চিনি বাদ দিতে পারেন। এছাড়া ফাস্টফুড, পেস্ট্রি, কেক ইত্যাদি বেকারি খাবারেও রয়েছে উচ্চমাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এ ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকাটাই শ্রেয়।

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যেমন নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুম, চাপ ও স্ট্রেসমুক্ত জীবনযাপন এবং সুষম খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ধরনের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে কেবল ওজনই নিয়ন্ত্রণে থাকবে না বরং দীর্ঘায়ু লাভ করা যাবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।


দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া অবলম্বনে