RSS

সর্দারজির কৌতুক

• সর্দারজি ঘোড়ায় চড়ে শহরে গেছেন। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপর দিয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ে যাচ্ছেন তিনি। একসময় রাস্তার সিগন্যাল বাতিকেও উপেক্ষা করে সামনে এগোতে লাগলেন। এটা দেখে পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে তাঁকে থামিয়ে বলল, ‘সিগন্যাল মানেননি কেন? আপনাকে থানায় যেতে হবে, চলুন।’ সর্দারজি অবাক হয়ে বললেন, ‘আরে মশাই, আপনার কাজ হলো সিগন্যাল না মানলে গাড়ি-ঘোড়ার নম্বর লিখে সেই নম্বরে মামলা ঠুকে দেওয়া। তা আপনি ঘোড়ার পেছনে নম্বর দেখে মামলা করে দেন। আমাকে অযথা থানায় যেতে বলছেন কেন? আপনি তো দেখছি আচ্ছা পুলিশ, নিজেই নিয়ম মানেন না!’

• সর্দারজির স্ত্রী এক সকালে সর্দারজির ওপর মহাখাপ্পা। সর্দারজি বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হয়েছেটা কী, শুনি? সকালবেলা রাগারাগি করছো কেন? সর্দারজির স্ত্রী চিৎকার করে বললেন, ‘তোমার পকেটে “বাসন্তী” লেখা কাগজ পেলাম কেন?’
সর্দারজি বললেন, ‘আরে, এই কথা! আমি কাল যে ঘোড়াটি কিনেছি, তারই নাম তো বাসন্তী!’ কিছুদিন পর আবারও সর্দারজির স্ত্রী তাঁর ওপর রাগারাগি শুরু করলেন। সর্দারজি বললেন, ‘আজকে আবার কী হলো?’ সর্দারজির স্ত্রী ঝামটা মেরে বললেন, ‘তেমন কিছু হয়নি। বোধহয় আজকে তোমার বাসন্তী নামের ঘোড়াটি ফোন করেছে। নাও, ঘোড়ার সঙ্গে কথা বলো।’


• বিমানে দিল্লি থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে ১৫ মিনিট পর ক্যাপ্টেন ঘোষণা করলেন, ‘আমাদের একটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়েছে। চিন্তার কিছু নেই, এখনো আমাদের তিনটি ইঞ্জিন সচল আছে। হয়তো পৌঁছাতে সময় এক ঘণ্টা বেশি লাগতে পারে।’
৩০ মিনিট পর ক্যাপ্টেন আবারও একই ঘোষণা দিয়ে জানালেন, ‘আরও একটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে। এবার পৌঁছাতে আরও দুই ঘণ্টা বেশি লেগে যাবে।’
ঠিক এক ঘণ্টা পর আবারও ঘোষণা এল—আরও একটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়েছে। তবে সর্বশেষ ইঞ্জিনটি এখনো সচল আছে। তাই পৌঁছাতে আরও তিন ঘণ্টা সময় বেশি লাগতে পারে।
এবার সর্দারজি তাঁর পাশের সিটের ব্যক্তিকে ডেকে বললেন, ‘দাদা, এই সর্বশেষ ইঞ্জিনটি নষ্ট হলে মনে হয় আজ সারা দিন এই আকাশে ভাসতে হবে, তাই না?’


• ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সর্দারজি একটি গাড়ি কিনেছেন। কিন্তু গাড়ি কেনার পর থেকে সেই ঋণের টাকা পরিশোধের আর কোনো নাম নেই তাঁর। অনেক তাগাদা দেওয়ার পরও টাকা পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একদিন সর্দারজির গাড়িটি নিয়ে যায়। এটা দেখে সর্দারজির বন্ধু বললেন, ‘কি রে, তোর গাড়ি তো গেল!’
‘আরে ধুর, বলিস না! আগে জানলে তো আমি বিয়ের জন্যও ঋণ করতাম, বোধকরি সেটাই ভালো হতো’—সর্দারজির জবাব।


• জেলখানায় সর্দারজি ও পুলিশের মধ্যে কথোপকথন—
পুলিশ: ফাঁসির আগে তোমার কি কোনো শেষ ইচ্ছা আছে? আজকে তোমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণ করা হবে।
সর্দারজি: হুম, একটা ইচ্ছা আছে।
পুলিশ: কী সেই ইচ্ছা?
সর্দারজি: আমার পা ওপরে আর মাথা নিচে রেখে যেন ফাঁসিটা দেওয়া হয়!

সর্দারজি রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। রাস্তার ওপরে বিদ্যুতের তারে একটি পাখি বসে আছে। একসময় পাখিটি মল ত্যাগ করামাত্র সোজাসুজি তা সর্দারজির মাথার ওপর গিয়ে পড়ল। এটা দেখে সর্দারজি আশপাশে তাকালেন কেউ দেখেছে কি না, তা বুঝতে। তারপর মনে মনে বলতে লাগলেন, ‘তাও ভালো যে, গরু উড়তে পারে না, আর তারের ওপরও বসতে পারে না।’

• সর্দারজি ও সান্তা বিয়ে নিয়ে কথা বলছেন—
সান্তা: আচ্ছা, তুমি বিয়েটা করে ফেলছো না কেন?
সর্দারজি: আমি আসলে আমার মতোই আদর্শবান একজনকে খুঁজছি।
সান্তা: তাহলে সে রকম কাউকে খুঁজে পাওনি?
সর্দারজি: তা একজনকে পেয়েছি বৈকি...।
সান্তা: তাহলে সমস্যা কোথায়?
সর্দারজি: আরে, সে তো আবার তার আদর্শের মতোই আরেকজনকে খুঁজছে।


• সর্দারজি গেছেন টেলিভিশন কিনতে—
সর্দারজি: আচ্ছা, আপনাদের এখানে রঙিন টেলিভিশন আছে?
বিক্রেতা: হুম, আছে। তা কোন কোম্পানির টেলিভিশন দেখাব?
সর্দারজি: অত কিছু বুঝি না। আমার রঙিন টেলিভিশন চাই। আর যেনতেন রং হলে হবে না। সবুজ রঙের টেলিভিশন দেখান।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন