RSS

হৃদরোগ ও বিষণ্নতা এক হলে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণ

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি সাধারণের তুলনায় বহুগুণ বেশি। কিন্তু এর সঙ্গে যদি বিষণ্নতা যুক্ত হয় তবে মৃতু্যঝুঁকি বেড়ে যায় আরো কয়েকগুণ। সম্প্রতি বেশ কয়েক বছর ধরে ব্রিটিশ ও ফরাসি গবেষকরা প্রায় ৬ হাজার মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছেন। গবেষকদের মতে, কেবলমাত্র হৃদরোগে আক্রান্তদের তুলনায় হৃদরোগ ও বিষণ্নতা উভয় রোগে আক্রানত্দদের মৃত্যুঝুঁকি ৪ গুণ বেশি। 'হার্ট জার্নাল' নামের একটি চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে গবেষকরা প্রায় ৬ হাজার মধ্যবয়স্ক মানুষের ওপর পাঁচ বছর ধরে সমীক্ষা চালিয়েছেন।

'ব্রিটিশ হোয়াইট হল স্টাডির' অধীনে দু'দেশের গবেষকরা এই গবেষণায় অংশ নেন। স্বাস্থ্যের উপর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবকগুলোর প্রতিক্রিয়া জানতে ব্রিটিশ সরকার এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ ও ফ্রান্সের ভার্সাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই গবেষণায় অংশ নেন। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে চলা এই গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যারা অংশ নিয়েছেন তারা প্রধানত মধ্যবয়সী সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ছিলেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা হৃদরোগে আক্রান্ত তারা সুস্থ মানুষের তুলনায় ৬৭ ভাগ বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে থাকেন। কিন্তু এর সঙ্গে যদি বিষণ্নতা যুক্ত হয় তবে মৃত্যুঝুঁকির হার তিনগুণ বৃদ্ধি পায়। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র নার্স এমি হমসন বলেন, 'ইতোপূর্বে বিষণ্নতার সাথে হৃদরোগের সম্পর্ক নিয়ে যে গবেষণা হয়েছিল এই গবেষণা তারই ধারাবাহিকতায় হয়েছে। বিষণ্নতার সাথে এমনিতেই হৃদরোগের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু যদি উভয়রোগের সম্মিলন ঘটে কারো মধ্যে তবে মৃত্যুঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।'

এ ধরনের মারাত্মক পরিস্থিতি এড়াতে হলে প্রথমেই নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। বিষণ্নতাকে অবহেলা না করে দ্রম্নত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা। নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও ইতিবাচক ভাবনা পাল্টে দিতে পারে জীবনধারা। চিকিৎসকের পরারর্শ মেনে হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে এমন জীবনাভ্যাস রপ্ত করতে পারলে মৃত্যুঝুঁকি অনেকগুণ কমে যাবে বলে মনে করেন তারা।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন