RSS

সত্যিকারের সবজান্তা

মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন
বাঘ
প্রতিটি বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগ অন্য বাঘের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। একটি বাঘের গায়ে মোটামুটি শখানেক ডোরাকাটা দাগ থাকে।
বিজ্ঞানীরা এ যাবত্ নয়টি উপ-প্রজাতি বাঘ শনাক্ত করেছেন। এরা হলো বেঙ্গল, ইন্দো-চায়নিজ, মালয়ান, সুমাত্রান, সাইবেরিয়ান এবং চায়না। দুটি প্রজাতি বালিয়ান এবং ক্যাম্পিয়ান ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে।
সাইবেরিয়ান বাঘ আকারে সবচেয়ে বড়। লম্বায় প্রায় ২৭০-৩৩০ সে.মি. উচ্চতায় ১০৭-১১০ সে.মি.এবং ওজনে প্রায় ৩০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাঘের গর্জন প্রায় এক মাইল দূর থেকে শুনতে পাওয়া যায়।
বাঘ তার মূত্র দ্বারা অথবা গাছের গায়ে আঁচড়ের মাধ্যমে নিজের এলাকা চিহ্নিত করে।
বাঘের পায়ের টেন্ডন (শক্ত তন্তু, যা মাংসপেশি হাড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে) এতটাই শক্তিশালী যে গুলি খেয়ে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দাড়িয়ে থাকতে পারে।
বাঘ প্রতিদিন ৬ কেজি মাংস খায়। তবে কোনো কিছু না খেয়ে সপ্তাহখানেক বেঁচে থাকার ক্ষমতা বাঘের আছে।
শিকার ধরার সময় সাধারণত বাঘ তার পায়ের আঙুলে দাঁড়িয়ে হাঁটে। এ ছাড়া কোনো কোনো প্রজাতির বাঘ লাফ দিয়ে ৩৩ ফুট পর্যন্ত যেতে পারে।
বাঘের মুখের লালা জীবাণুনাশক। তাই বাঘ আহত হলে ক্ষতস্থানে মুখের লালা ব্যবহার করে।
বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগগুলো ছদ্মবেশ হিসেবে শিকার কিংবা শত্রুর চোখকে ধোঁকা দিতে বেশ কাজে লাগে। বাঘের গায়ের সব লোম ফেলে দিলেও ডোরা কাটা দাগগুলো থেকে যাবে।
বাঘের বেশ কিছু ফসিল আছে, যা প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছর পুরোনো।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন