সুস্থ সবল হৃৎপিণ্ড দীর্ঘ জীবনের চাবিকাঠি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ দ্রুত নাগরিক জীবনে বাড়ছে কাজের চাপ ও স্ট্রেস। পাশাপাশি ফাস্টফুড বা দ্রুত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সিংহভাগ মানুষ। গবেষকরা বলছেন ক্রমাগত স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। দেখা দেয় উচ্চ রক্তচাপের মত শারীরিক উপসর্গ। বর্তমানে তরুণরাও উল্লেখযোগ্য হারে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে স্ট্রেসের পরিমাণ কমানো, ধূমপান ত্যাগ, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। সুস্থ হৃৎপিণ্ডের জন্য ১০টি পরামর্শ মেনে চলার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তারা। এগুলো হল-
ধূমপান ত্যাগ : ধূমপান ১৫ থেকে ২৫ বছর আয়ু কমিয়ে দেয়। যদি কেউ ধূমপায়ী হয় তবে তার হার্ট এটাকের আশংকা অধূমপায়ীর তুলনায় দ্বিগুণ। তবে যখন থেকেই ধূমপানের অভ্যাস কেউ ত্যাগ করবে তখন থেকেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে অনেকাংশে।
লবণ কম খাওয়ার অভ্যাস : লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। তাই খাবারের সঙ্গে বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে দ্রুত।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস : সুস্থ হৃৎপিণ্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। মাছ, ফল-মূল ও শাক-সব্জি বেশি পরিমাণ খেতে হবে। খুব বেশি শর্করা ও মাংস জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
মদ্যপান নিষেধ : খুব বেশি মদ্যপান করলে হৃদপেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এছাড়া নিয়মিত মদ্যপানে ওজন বাড়ে ও রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। তাই সুস্থ হৃৎপিণ্ডের জন্য মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
সক্রিয় থাকুন : ব্যায়াম করম্নন কিংবা শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করুন প্রতিদিন। সচল ও সক্রিয় না থাকলে শরীরের বিপাক ক্রিয়ার গতি মন্থর হয়ে যায়। ঝুঁকি বাড়ে হৃদরোগের।
রক্তচাপ, রক্তশর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়মিত পর্যবেৰণ করতে হবে।
সুস্থ আছেন কী-না সেটা জানাও জরুরি। হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রসত্দ হওয়ার আগে রক্তচাপ, রক্তশর্করা বা বস্নাড সুগার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। এসব শারীরিক অবস্থা তাই সব সময় পর্যবেৰণ করতে হবে। নিয়মিত চেকআপ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
কোমরের চর্বি কমান : কোমরের মাপ বড় হলে এর চারপাশে চর্বির স্তর পড়লে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই কোমর সরু রাখা জরুরি।
স্ট্রেস কমান : আপনি যখন খুব ব্যস্ত থাকেন তখন নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া না হলেও ধূমপানের পরিমাণ হয়ত বেড়ে যায়। এটা চরম স্ট্রেসের লক্ষণ। স্ট্রেস কমাতে নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুম ও যোগ ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পারিবারিক ইতিহাস জানুন : আপনার পরিবারে যদি হৃদরোগের ইতিহাস থাকে, যদি বাবা মায়ের এই রোগ থেকে থাকে তবে আপনারও এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কাজেই অন্যদের তুলনায় আপনাকে অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে।
হাসুন : হাসি হলো মহৌষধ। হাসতে পারা ও হাসির উপলৰ তৈরি করা জরম্নরি। এতে মন হালকা হয়। স্ট্রেস কমে।
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া অবলম্বনে
হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে মেনে চলুন ১০টি পরামর্শ
এর দ্বারা পোস্ট করা
Mohammed Delwar Hossain
on শুক্রবার, ১২ নভেম্বর, ২০১০
1 মন্তব্য(গুলি):
ধন্যবাদ এমন সুন্দর পোস্ট করার জন্য। আমি অনেক দিন ধরে এই রকমের একটি পোষ্ট খুঁজছিলাম। আপনার এই পোস্ট অনেক উপকারে আসবে আমার বিশ্বাস। এর আগেও একটা টিপস্ পেয়েছিলাম। এই টিপসইটও অনেক উপকারী। যার দরকার হবে দেখতে পারেন। আবারো লেখককে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না। তবে এরকম আরো একটি লেখা পড়েছিলাম ।। এখানে> http://muktomoncho.com/archives/1437
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন