ভেজা স্যাঁতসেঁতে ভাব ক্ষুদ্র এসব পতঙ্গের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। এ নিয়ে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে ক্ষুদ্র পতঙ্গগুলোর জীবনচক্র পর্যবেৰণ করেছেন। কীভাবে পতঙ্গগুলোকে ঘুমানোর স্থান থেকে বিতাড়িত করা যায় তা জেনে নেওয়াটাই ছিল তাদের লৰ্য। গবেষকরা লৰ্য করেছেন এসব বিছানার পোকার দেহের বাহিরের অংশে এক ধরনের গ্রন্থি থাকে। এ গ্রন্থির সাহায্যে পোকাগুলো বাতাস থেকে জলীয়বাষ্প শুষে নেয়। গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ড. স্টিফেন প্রেটলভ বলেন, 'বিছানা আদ্রতা থাকলে পোকাগুলো বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতে পারে। বিছানা শুষ্ক থাকলে পোকাগুলো পানি সংগ্রহ করতে পারে না ফলে ধীরে ধীরে পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়ে তারা মারা যায়।
মানুষের জীবনযাত্রা এসব পোকার উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তাও জানার চেষ্টা করেছেন গবেষকরা। যুক্তরাজ্যের প্রায় ৩৬ বাড়ির বিছানায় ডাস্ট মাইটদের কর্মকাণ্ড পর্যবেৰণের জন্য তারা যন্ত্রপাতি লাগিয়েছিলেন। ঘরের তাপমাত্রা, আলোবাতাস, আদর্্রতা ইত্যাদি পোকাদের উপর কেমন প্রভাব ফেলে তারা তা জানতে সৰমও হয়েছেন। এই গবেষণায় সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন বিজ্ঞানী ড. ম্যাট হলসওয়ার্থ। যুক্তরাজ্যের 'চ্যারিটি অ্যাজমা' নামের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এই গবেষক বলেন, গৃহস্থালীর ডাস্ট মাইট হাঁপানি রোগের বড় কারণ। অথচ এর বিরম্নদ্ধে এখন পর্যনত্দ কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে ঘরের পরিবেশকে এসব পোকামাকড়েরন বসবাসের প্রতিকূল করে তুলতে পারলে ফল পাওয়া যাবে। ঘর যাতে যথেষ্ট উষ্ণ থাকে এবং আদর্্রতা যাতে একেবারেই না থাকে সেদিকেই লৰ্য রাখতে হবে।
বিবিসি অবলম্বনে
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন