RSS

স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ১০টি কারণে


বিশ্বজুড়ে স্ট্রোকজনিত মৃত্যুর হার বাড়ছে। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক লোক এই রোগে মৃতু্যবরণ করার পাশাপাশি চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করছে। উলেস্নখ্য, স্ট্রোক মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত একটি রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনী ছিঁড়ে যায় এবং রক্তক্ষরণের ফলে রোগীর মৃতু্য হয়। সাধারণত রক্তনালীতে চর্বি জমে সরম্ন হয়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। রক্তনালীতে চর্বির সত্দর আরো বেড়ে গেলে এক সময় রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় এবং রক্তনালীটি ছিঁড়ে গিয়ে স্ট্রোক হয়। জীবন-যাপন ও খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে স্ট্রোকের সম্পর্ক রয়েছে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে শতকরা ৯০ ভাগ স্ট্রোকের পেছনে কিছু সাধারণ কারণ কাজ করে। এসব কারণ বা ফ্যাক্টর না থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে না। সম্প্রতি কানাডার একটি গবেষণা সংস্থা তাদের গবেষণায় জানতে পেরেছে উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, স্থূলতা (বিশেষ করে পেটের চারপাশে মেদ সঞ্চয়), অকর্মণ্যতা বা আলস্য, মানসিক চাপ ইত্যাদির প্রভাবে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করে উচ্চ রক্তচাপ ও ধূমপান। উচ্চ রক্তচাপ ও হাইপারটেনশনে ভুগলে শরীরে নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। উচ্চ রক্তচাপের কারণে রক্তনালীর গায়ে চাপ তৈরি হয়। তার সাথে যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে এবং রক্তনালীতে চর্বি জমে তবে এই তিনের প্রতিক্রিয়ায় স্ট্রোক হতে পারে যে কোনো সময়।

অধিক ওজন, স্থূলতা, স্ট্রেস, খাদ্যাভ্যাস, কর্মহীনতা এবং নিয়মিত ঘুম না হওয়াও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। এসব ঝুঁকি দূর করতে পারলে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে।

হ্যামিলটনের ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সেলিম ইউসুফ বলেন, 'উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি তৈরি করে।' তাছাড়া মেদবহুল শরীর, কর্মহীনতা এবং স্ট্রেসও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বলে তিনি জানান। যাদের স্ট্রোক হয় তাদের সবার রক্তেই চর্বির হার থাকে খুব বেশি। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে রক্তে চর্বি বা কোলেস্টেরলের হার কমাতে হবে। মার্চ ২০০৭ থেকে এপ্রিল ২০১০ পর্যনত্দ প্রায় ২২টি দেশের ৬ হাজার লোকের উপর গবেষণা চালিয়ে গবেষকরা এসব তথ্য পেয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষই স্ট্রোকে আক্রানত্দ হয়েছেন।

দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া অবলম্বনে

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন