
এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক রিউম্যাটোলজির অধ্যাপক সুজানা বিয়াত্রিচ ভেরিসিমো ডি মেলো বলেন, 'মৌমাছির বিষ শরীরে প্রদাহবিরোধী হরমোন গস্নুকোকর্টিকয়িডসের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।' মেলো ব্যাখ্যা করে বলেন, 'মৌমাছির বিষ শরীরে অ্যালার্জির লৰণ তৈরির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উদ্দীপিত করে তোলে। ফলে এ ধরনের হরমোন বেড়ে যায় যা সন্ধিবাতের প্রদাহ কমিয়ে আনে।
এই গবেষণার আগে থেকেই প্রায় শতাব্দিকাল ধরে সন্ধিবাতের চিকিৎসায় মৌমাছির বিষ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু লোকজ এই চিকিৎসা পদ্ধতির কোনো স্বীকৃতি ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছিল না। ড. মেলোর গবেষণার পর আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এখন এই পদ্ধতি প্রয়োগ করবে বলেই ধারণা করছেন সংশিস্নষ্টরা। ডি মেলো বলেন, 'খরগোশের উপর মৌমাছির বিষ প্রয়োগ করে দেখা গেছে তাদের দেহেও গস্নুকোকর্টিকয়িডস বেড়ে যায় এবং সন্ধিবাত নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে।' কেবল সন্ধিবাতই নয় মেলো জানাচ্ছেন, হাঁপানি এবং ধমনী শক্ত ও অনমনীয় হয়ে পড়ার রোগ মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসেও মৌমাছির বিষ ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। সেদিন হয়ত আর বেশি দূরে নয় যেদিন মৌমাছির হুলের দর্শন লাভ করতে দলে দলে মানুষ ঢিল ছুড়বে মৌচাকে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন