
'দ্য ফুট' নামে শিশুদের পায়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি চিকিৎসা সাময়িকীতে অনুরূপ একটি গবেষণা প্রতিবেদন ছাপা হয় এর আগে। সে গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায়, জুতো শিশুদের পায়ের স্বাভাবিক গঠনকে নষ্ট করে। খালি পায়ে হাঁটলে পা প্রাকৃতিক নিয়মে স্বাভাবিকভাবেই হাঁটা চলার উপযুক্ত হয়ে বেড়ে ওঠে। অপরদিকে জুতো পরার অভ্যাসের কারণে পা হয় ত্রম্নটিপূর্ণ। ২৫ বছর ধরে নগ্নপদে হাঁটছেন যুক্তরাজ্যের স্কুল শিৰক জন উডওয়ার্ড। তিনি বলেন, 'এটা সত্যি যে আমরা আদিম যুগে বসবাস করছি না। নাগরিক জীবনে শহরে চলতে ফিরতে পা জোড়াকে বিপদের হাত থেকে রৰা করতে জুতো প্রয়োজন। কিন্তু আমরা ভুলে গেছি এটা সার্বৰণিক কোনো ব্যবস্থা নয়। জুতো আমাদের ৰণিকের প্রয়োজন মেটায় মাত্র।' তার মতে অধিকাংশ বাবা মা সনত্দানদের সাইজমত জুতো পরানোর জন্য উৎকণ্ঠিত। বাবা মায়েরা সনত্দানদের নির্দিষ্ট সাইজের জুতো পরাতে পারলেই সন্তুষ্ট। পা বেঢপ হয়ে পড়লে বাজারের কোনো জুতোই সনত্দানের পায়ে লাগবে না এমন দুশ্চিনত্দাও তাদের মনে কাজ করে বলে তিনি মনে করেন। একবার একটি রেসত্দোরাঁয় তাকে খালি পায়ে দেখে একটি শিশুও সাথে সাথে জুতো জোড়া খুলে ফেলে। সে অভিজ্ঞতার বিবরণ দিতে গিয়ে উডওয়ার্ড বলেন, 'শিশুটি জুতো খুলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে তার মা তাকে দ্রম্নত জুতো পরে নিতে নির্দেশ দেন। মা তার সনত্দানকে বলছিলেন, তুমি যদি জুতো না পর তবে তোমার পায়ে আর কোনো জুতোই আঁটবে না।' উডওয়ার্ডের মতে, মায়েরা জুতোর জন্য যতটা শংকিত শিশুর পায়ের জন্য ততটা নন।
উডওয়ার্ড মনে করেন মানুষের পা হাঁটা চলা, দৌড়ানো, বাধা ডিঙানো, গাছে চড়া ইত্যাদি সবকিছুর জন্য উপযুক্ত। জুতো পায়ের সেই সৰমতাকে নষ্ট করে।
গবেষকদের মতে, শিশুদের পা পূর্ণ বয়স্কদের পায়ের মত সুগঠিত থাকে না। পায়ের পাতায় যে ২৮টি হাড় থাকে সেসবের পরিপূর্ণ বিকাশ হতে অনত্দত ১০ থেকে ১২ বছর সময় লাগে। প্রধানত তরম্নণাস্থি এবং পেশি দ্বারা গঠিত শিশুদের পা একবার জুতোর ভেতরে ঢুকলে তাই বিকশিত হবার সুযোগ পায় না। শিশুদের পায়ের এবং মসত্দিষ্কের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য তাই নগ্নপদে হাঁটাকেই সমর্থন করেন শিশু বিশেষজ্ঞরা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন